চলুন এবার সরাসরি মূল আলোচনায় আসিঃ
বিশেষ বিশেষ ইবাদতের জন্য অজু করা ফরজ। এমনিতেও অজুও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhzJ-z-JHC9SeI5p6j2WPi-7vmGHQYUJzSaCqdGGJapCY-XSY9U3zgUNF6BumYANgvG7GKZGkBBrLYIJ8Wbn83EGE6GdsTm6UL5Xo6rKyXovIH3Wc2OI7vmEXSwLd117KxbmV2SR4w74uu6/s320/20191119_181453%255B1%255D.jpg)
অজু কী, অজু করার নিয়ম, ফরজ সমূহ ও অজু ভঙ্গের কারণ সমূহ
সম্মানিত পাঠকগণ!সাবইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারক বাদ। আমরা ধারাবাহিকভাবে ইসলামি যেই জ্ঞান সমূহ অর্জন করা ফরজ সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতেছিলাম। যেন আমরা ইসলামি ভাবে জীবন যাপন করতে পারি। অন্যথায় আল্লাহ তায়ালার দরবারে ফরজ তরক করি ও মূর্খ হিসেবে হাজির হতে হবে। তাছারা এই মূর্খ ভাবে আমল করলে কোন আমলই আল্লাহ তায়ালার নিকট কবুল হবে না। অন্তত এই ফরজ জ্ঞান গুলো অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে তাহলে আল্লাহ পাক আমার চেষ্টার কারণে খুশি হয়ে আমাকে হ্মমা করে দিবেন। আল্লাহু গফুরুর রহিম!
চলুন এবার সরাসরি মূল আলোচনায় আসিঃ
বিশেষ বিশেষ ইবাদতের জন্য অজু করা ফরজ। এমনিতেও অজুও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
অজু কী?
অজু হলো পবিত্রতা অর্জনের একটা ছোটো মাধ্যম। যেমনঃ নামাজ পড়ার জন্য, কোরআন শরীফ র্স্পর্শ করার জন্য, বাইতুল্লাহ শরীফ তওয়াফ করার জন্য ইত্যাদি ইবাদাতের জন্য অজু করে পবিত্র হয়ে নিতে হয়।[বি.দ্র. গোসল ফরজ হলে অজু করার দ্বারা পবিত্রতা অর্জন হবে না। গোসল করেই পবিত্রতা অর্জন করতে হবে]
অজু করার নিয়ম?
সুন্নাত মোতাবেক অজু আদায়ের নিয়ম ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক উল্লেখ করা হলোঃ১/ অজুর শুরুতে নিয়ত করা সুন্নাত।
২/ "বিসল্লাহির রহমানির রহিম" বলা সুন্নাত।
৩/ দুই হাতের কব্জিসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত।
৪/ তিনবার মিসওয়াক করা সুন্নাত।
৫/ তিনবার কুলি করা সুন্নাত।
৬/ তিনবার নাকে পানি দেওয়া সুন্নাত।
৭/ সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া সুন্নাত।
৮/ ডান হাতের কুনুইসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত।
৯/ বাম হাতের কুনুইসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত।
১০/ দুই হাতে আংগুলি খিলাল করা সুন্নাত।
১১/ সমস্ত মাথা একবার মাছেহ করা সুন্নাত।
১২/ কান মাছেহ করা সুন্নাত।
১৩/ গর্দান মাছেহ করা সুন্নাত।
১৪/ ডান পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত।
১৫/ বাম পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধোয়া সুন্নাত।
১৬/ দুই পায়ের আঙ্গুলি খিলাল করা সুন্নাত।
অজুর ফরজ সমূহ?
অজুতে চার ফরজ-অর্থাৎ যেই কাজ গুলোতে সামান্য ত্রুটি হলেও অজু হবে না।
যথা-
১/ সমস্ত মুখ ধোয়া।
২/ দুই হাতের কুনুইসহ ধোয়া।
৩/ মাথা মাছেহ্ করা।
৪/ দুই পায়ের টাখনুসহ ধোয়া।
অজু ভঙ্গের কারণ?
অজু ভেঙ্গে গেলে বা নষ্ট হলে আবার অজু করে ইবাদত করতে হবে অন্যথায় অজু আবশ্যিক ইবাদত আদায় হবে না।অজু ভঙ্গের কারণ ৭টিঃ
১/ পায়খানা-পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বাহির হওয়া।
২/ মুখ ভরিয়া বমি হওয়া।
৩/ শরীরের কোন স্থান হইতে রক্ত, পুজ, পানি বাহির হইয়া গড়াইয়া পড়া।
৪/ থুথুর সঙ্গের রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।
৫/ চিত বা কাত হইয়া হেলান দিয়া ঘুমানো(একটু সময় বা বেশি)
৬/ পাগল, মাতাল ও অচেতন হইলে।
৭/ নামাযে উচ্চস্বরে হাসিলে।
হে আল্লাহ!
আজ আমরা যা শিখলাম সোগুলো আমল করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আজাব থেকে হেফাজত করুন!
আমিন!