রোজার বিধি-বিধান !


بِسْــــــــــــــــــمِ-اﷲِالرَّحْمَنِ-اارَّحِيم‎
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ!
সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা  মুবারকবাদ  আশা করি সকলে ভালো আছেন। সর্বাবস্থায় মহান প্রভুর শুকরিয়া "আলহামদুলিল্লাহ "

সম্মানিত পাঠকগণ !
আজ আমরা  জানবো সওম বা রোজা সম্পর্কে 
প্রথমে জেনে নেই

সওম এর শাব্দিক অর্থ-



সওম এবং সিয়াম দুটাই আরবি শব্দ  এর আভিধানিক অর্থ হলঃ

  কাজ থেকে বিরত থাকা 
  কঠোর সাধনা করা 
  অবিরাম চেষ্টা করা 
  আত্মসংযম ------ ইত্যাদি 

এখন জনে নেই 

সওম বা রোজার সংজ্ঞাঃ

আবুল হোসাইন কুদূরী  জমহুর উলামায়ে কেরাম বলেন-
নির্দিষ্ট শর্তাবলির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে কতিপয় কাজ থেকে বিরত থাকার নাম সওম / 
রোজা 
শরহে বেকায়া গ্রন্থকার বলেন-
সওম বা রোজা হলো সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার  স্ত্রী-সম্ভোগ থেকে বিরত থাকা।
আশা করি এখন সকলে জানেন রোজা কী !
এখন জানব 

রোজার হুকুমঃ

রমজানের রোজা ফরজ  যেমন আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেনতোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে , যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর 
কোরআনে কারিমের এই আয়াত দ্বারা সওম / রোজা ফরজ হয়েছে  আবার রমাজন মাসের রোজা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে উম্মাতে মুহাম্মাদির ইজমা” (ঐক্যপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে  সুতরাং রমজানের রোজাকে অস্বীকার করলে অস্বীকারকারী কাফের হয়ে যাবে 
আর মানতের রোজা ওয়াজিব অর্থাৎ ফরজের ন্যায়  যেমন পবিত্র কুরআনের  বানী – “তারা যেন তাদের মানতসমূহ পূর্ণ করে 
জেনে রাখার জন্য আরেকটি বিষয় উল্লেখ করছি যেহিজরি দ্বিতীয় সনে রমজানের রোজা ফরজ হয়েছে 

রোজার বিধি-বিধানঃ

যেই রোজা নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সম্পর্ক রাখে , যেমনঃ রমজান মাসের রোজা এবং নির্দিষ্ট মানতের রোজা 
এই প্রকার রোজার জন্য রাতে নিয়ত করতে হবে  আর যদি ভোর পর্যন্ত নিয়ত না করে থাকেতাহলে সূর্য হেলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নিয়ত করলে যথেষ্ট হবে 

আর যেই ওয়াজিব রোজা , যা দায়িত্বে আবশ্যকীয় হয়ে পড়ে  যেমন- রমজানের কাজা রোজা , শর্তহীন ) মানতের রোজা এবং কাফফারার রোজা  সুতরাং এই ধরণের রোজা রাতের নিয়ত ছাড়া জায়েজ হবে না 
আর নফল রোজা সূর্য ঢলে যাবার পূর্ব পর্যন্ত নিয়ত করলেও জায়েজ হবে 

চাঁদ দেখা

রমজানের রোজার ক্ষেত্রে মানুষের উচিৎ শাবানের ঊনত্রিশে চাঁদ তালাশ করা  অতঃপর যদি চাঁদ দেখে তাহলে রোজা রাখবে  আর যদি চাঁদ সকলের নিকট অদৃশ্য হয় বা দেখা না যায় তাহলে শাবানের ত্রিশ দিন পূর্ণ করে তারপর রোজা রাখবে 
আর যদি কেউ  একা রমজানের চাঁদ দেখে তাহলে সে একা রোজা রাখবে  যদিও তার সাক্ষ্য ইমাম বা সকলে গ্রহন না করে  আর যদি আকাশ পরিস্কার না থাকে বাধা-বিপত্তি থাকে মেঘধোঁয়াধূলিবালি ইত্যাদি ) তাহলে ইমাম চাঁদ দেখার ব্যাপারে ন্যায়পরয়াণ বেক্তির সাক্ষ্য গ্রহন করবেন  চাই সে পুরুষ হোক বা স্ত্রী লোক , দাস হোক বা আজাদ হোক  আর যদি আকাশ পরিস্কার থাকে বাধা-বিপত্তি না থাকেতাহলে সাক্ষ্য গৃহীত হবে নাযে পর্যন্ত অধিক লোক সাক্ষ্য না দেয় , যাদের খবরে চাঁদ দেখার বিশ্বাস দৃঢ় হয় ।